Skip to content

যে ৮ টি উপায়ে সেকেন্ডারি সেলস হবে স্মুথ এবং ইফেক্টিভ

সেকেন্ডারি সেলস  (Secondary Sales) মানে ডিস্ট্রিবিউটর থেকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পণ্য সরবরাহ এবং বিক্রয়ের প্রক্রিয়া। ব্যবসায়িক সাফল্যের জন্য সেকেন্ডারি সেলস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেকেন্ডারি সেলস সরাসরি কাস্টমারের সাথে সম্পর্কিত না থাকলেও ব্যবসার ভবিষ্যৎ এটার উপর নির্ভরশীল। একটা কোম্পানির পণ্যের গুণগত মান, সার্ভিস এবং ডিস্ট্রিবিউশন পদ্ধতি কাস্টমারের সন্তুষ্টি এবং ভবিষ্যৎ ক্রয় নির্ধারণ করে থাকে। সাধারণত বড় কোম্পানিগুলো সেকেন্ডারি সেলসের উপর নির্ভরশীল থাকে পণ্য বাজারজাতকরণের জন্য। এর মাধ্যমে পণ্যকে দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে বাজারে পৌঁছানো যায়। 

যে ৮টি উপায়ে সেকেন্ডারি সেলস স্মুথ এবং ইফেক্টিভ করা যায়ঃ

১) শক্তিশালী ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক

সেকেন্ডারি সেলসের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক(Distribution Network) শক্তিশালী হওয়া। ডিস্ট্রিবিউটর এবং খুচরা বিক্রেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে নিয়মিত, তাদের প্রয়োজন বুঝতে হবে প্রয়োজনীয় সহায়তাও নিশ্চিত করতে হবে। একটি নির্ভরযোগ্য ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল তৈরি করা হলে, সেলস প্রসেস আরও স্মুথ এবং কার্যকরী হবে।

২) সঠিক ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট

২০২৩ সালের একটি পরিসংখ্যানে এসেছে বিশ্বের প্রায় ৮১% ই-কমার্স ব্যবসায়ী কাস্টমারদের কাছে অর্ডার ম্যানেজমেন্ট করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে। ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পর্যাপ্ত স্টক থাকা নিশ্চিত করুন, কিন্তু আবার অতিরিক্ত স্টক দিয়ে ফেলে রাখবেন না। অটোমেটেড ইনভেন্টরি ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করলে সঠিক সময়ে স্টক ফিল-আপ করা সহজ হবে এবং স্টকআউট এর সমস্যা এড়ানো যাবে।  

৩)  রিয়েল-টাইম ডাটা এনালিটিক্স ব্যবহার

রিয়েল-টাইম ডাটা অ্যানালিটিক্স সেকেন্ডারি সেলসে ব্যবহার করলে ব্যবসায়ের কার্যক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া অনেক বেশি দক্ষ এবং গতিশীল হয়ে ওঠে। রিয়েল-টাইম ডাটা এনালিটিক্স ব্যবহার করে সেকেন্ডারি সেলসের ট্রেন্ড এবং পারফরম্যান্স এনালাইসিস করা যেতে পারে। এতে করে কোন অঞ্চলগুলোতে বেশি বিক্রি হচ্ছে, কোন পণ্যের চাহিদা কেমন, কোন পণ্যে সমস্যা হচ্ছে সে তথ্য পাবেন। সেই অনুযায়ী নতুন স্ট্র্যাটিজি ডেভেলপ করতে সহজ হবে। 

৪) প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার

সেলস অটোমেশনের সফটওয়্যারগুলো সেলস প্রক্রিয়াকে সহজ করে দিয়েছে। সফটওয়্যার থেকে ডাটা কালেক্ট করে পণ্যের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ সম্ভব। তাই ডিস্ট্রিবিউটর এবং সেলস টিমকে প্রয়োজনীয় টুলস এবং প্রযুক্তির সাথে পরিচিত করুন। অনলাইন অর্ডার ম্যানেজমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, এবং অন্যান্য টুলস ব্যবহার করে সেলস প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় এবং স্মুথ করা সম্ভব।

৫) সেলস টার্গেট নির্ধারণ ও ইন্সেন্টিভ প্রদান

সেলস টার্গেট নির্ধারণ ও ইন্সেন্টিভ প্রদান ব্যবসার সাফল্যের জন্য অপরিহার্য দুটি উপাদান। এই দুটি কৌশল সমন্বিতভাবে কাজ করে কোম্পানির বিক্রয় বৃদ্ধি, কর্মী মোটিভেশন, এবং সামগ্রিক কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে। সেক্ষেত্রে ডিস্ট্রিবিউটর এবং খুচরা বিক্রেতাদের সেলস টার্গেট সেট করুন। সঠিক সময়ে টার্গেট পূরণের জন্য তাদের উৎসাহ দিতে বিভিন্ন ইন্সেন্টিভ প্রোগ্রাম চালু করুন। এটি তাদেরকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে এবং সেলস বৃদ্ধি পাবে।

৬) মার্কেট প্রমোশন ও ক্যাম্পেইন

প্রমোশন ও ক্যাম্পেইন ব্র্যান্ড বা পণ্যের পরিচিতি বৃদ্ধি করে। ডিস্ট্রিবিউটর এবং খুচরা বিক্রেতাদের সহায়তায় বিভিন্ন প্রমোশনাল ক্যাম্পেইন এবং ডিসকাউন্ট অফার চালু করতে পারেন। এতে তারা আরও বেশি উৎসাহী হয়ে সেলস বাড়ানোর জন্য কাজ করবে। অন্যদিকে মার্কেট প্রমোশন ও ক্যাম্পেইন সেকেন্ডারি সেলসকে সচল রাখতে সহায়তা করে এবং বিক্রয়, ব্র্যান্ড সচেতনতা, এবং গ্রাহক আকর্ষণ বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

৭) প্রোডাক্ট অ্যাভেইলেবিলিটি নিশ্চিত করা

প্রোডাক্ট অ্যাভেইলেবিলিটি সেকেন্ডারি সেলসে ক্রমাগত বিক্রয় ও গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে একটি মূল উপাদান। প্রোডাক্ট যথাযথ সময়ে ডিস্ট্রিবিউটর ও খুচরা বিক্রেতার কাছে না পৌঁছালে বিক্রয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে প্রোডাক্ট সঠিক সময়ে স্টকে না থাকলে গ্রাহকরা অন্য প্রতিযোগীর পণ্য বেছে নিতে পারে। তাই প্রোডাক্টের সাপ্লাই চেইন নিশ্চিত করা জরুরি।

৮) সময়মত ডেলিভারি এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা

লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা সঠিক না হলে সেকেন্ডারি সেলস ব্যাহত হতে পারে। প্রযুক্তির সমন্বয়ে লজিস্টিকস এবং ডেলিভারি প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, নির্ভরযোগ্য, এবং কার্যকরী হয়ে ওঠে। তাই দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। পণ্যের সঠিক অবস্থান এবং স্টকের আপডেট জানুন। 

লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা সঠিক না হলে সেকেন্ডারি সেলস ব্যাহত হতে পারে। প্রযুক্তির সমন্বয়ে লজিস্টিকস এবং ডেলিভারি প্রক্রিয়া আরও দ্রুত, নির্ভরযোগ্য, এবং কার্যকরী হয়ে ওঠে। তাই দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য ডেলিভারি ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। পণ্যের সঠিক অবস্থান এবং স্টকের আপডেট জানুন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

7 − two =